সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে তুচ্ছ কারণে প্রতিপক্ষ কর্তৃক শেখ আরিফুজ্জামান রাজু (৩২) নামে এক স্কুল শিক্ষককে হাতুড়ি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে ও দা দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখমের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার মহৎপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত স্কুল শিক্ষকের পিতা শেখ আব্দুর রহমান বাদী হয়ে শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে থানায় একটি এজাহার দিয়েছেন। আহত স্কুল শিক্ষক বর্তমানে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
সন্ত্রাসী হামলায় আহত স্কুল শিক্ষক শেখ আরিফুজ্জামান রাজু উপজেলার কুশলিয়া ইউনিয়নের মহৎপুর গ্রামের শেখ আব্দুর রহমানের ছেলে ও উপজেলার তারালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মহৎপুর গ্রামের মৃত খাঁন দিলদারের ছেলে খাঁন ইসহাক আলীর সাথে একই গ্রামের শেখ আব্দুর রহমান এর পূর্ববিরোধ ছিল। এর সূত্র ধরে বিভিন্ন সময়ে খাঁন ইসহাক আলী ও তার পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন সময়ে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করতো। একপর্যায়ে ১৬ জানুয়ারি রাত ৮টার দিকে বাড়ি ফেরার সময় খাঁন ইসহাক আলী, তার স্ত্রী সাবিরা বেগম ওরফে পুটি (৫০), ছেলে খাঁন সাব্বির হোসেন কবির (৩২)সহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪জনকে বাড়ির ১শ’ গজ দূরত্বে অন্যের মালিকানাধীন পুকুরের পানি মেশিনের সাহায্যে উত্তোলন করতে দেখেন শিক্ষক শেখ আরিফুজ্জামান রাজু। এসময় তিনি পুকুরের পানি উত্তোলনের মাধ্যমে অন্যের পুকুরের পানি শুকিয়ে ফেলার কারণ জানতে চান এবং পুকুরের পানি শুকালে এলাকাবাসীর গোসলসহ নানাবিধ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সমস্যা হবে বলে জানালে খাঁন ইসহাক আলী গং অশ্লীল ভাষায় তাকে গালিগালাজ করতে থাকে।
এসময় বিরোধ এড়ানোর জন্য স্কুল শিক্ষক ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে খাঁন ইসহাক আলী গংরা তাকে আটক করে হাঁতুড়ি, লোহার রড, বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করে এবং ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। তারা এ সময় ওই শিক্ষকের পাঞ্জাবির পকেটে থাকা ৭ হাজার ৮০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। স্কুল শিক্ষকের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন সেখানে পৌছালে হামলাকারীরা তাকে খুন জখমের হুমকি দিয়ে চলে যায়। স্থানীয়রা গুরুতর আহত স্কুল শিক্ষককে উদ্ধার করে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়।
আহত স্কুল শিক্ষকের পিতা শেখ আব্দুর রহমান হামলাকারী খাঁন ইসহাক আলীসহ ৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪জনকে আসামি করে শুক্রবার রাতে থানায় একটি এজাহার দাখিল করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন। তবে আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে তিনি সংশয় প্রকাশ করেন।
খুলনা গেজেট/এনএম